আজ (১৭ ডিসেম্বর, ২০১৯) ফেনী জেলাধীন ফেনী সদর উপজেলাস্থ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সন্নিকটে সুন্দরপুর নামক স্থানে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী “মোহাম্মদ আলী” দীঘি ভরাটের উপর ২ মাসের অন্তবর্তীকালীন স্থিতাবস্থাআরোপ করেছেন উচ্চ আদালত। একইসাথে দীঘিটি মাটি ভরাট হতে রক্ষা, পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণের ব্যর্থতা কেন আইনবহির্ভুত, আইনগত কর্তৃত্ব ব্যতিত ও জনস্বার্থ বিরোধী ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে বিবাদীগণের উপর রুল জারি করেছেন আদালত। সেইসাথে দিঘীটি ভরাট হতে রক্ষার, ভরাটকৃত অংশ পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার, বৃহত্তর জনস্বার্থে সংরক্ষণ করার ও দোষী ব্যক্তিকে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদানের নির্দেশ কেন প্রদান করা হবে না তাও জানতে চেয়েছেন আদালত। বিচারপতি জনাব এম এনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জনাব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান-এর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বিভাগের একটি বেঞ্চ বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) কর্তৃক দায়েরকৃত এক জনস্বার্থমূলক মামলার (নং-১৪৪৪৯/২০১৯) প্রাথমিক শুনানী অন্তে এ রুল ও অন্তবর্তীকালীন স্থিতাবস্থা জারি করেন। পাশাপাশি আগামী ২২ জানুয়ারি, ২০২০ তারিখে মামলাটি পূর্ণাঙ্গ শুনানীর জন্য তালিকায় রাখার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
উল্লেখ্য, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন গ্রহণ ব্যতিরেকে “ফেনী বিশ্ববিদ্যালয়” নামক একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ফেনী শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ১৩ একর আয়তন বিশিষ্ট শতবর্ষী একটি দিঘীটি ভরাট করতে থাকলে দেশের গুরুত্বপূর্ণ সংবাদপত্রে দিঘী ভরাটের বিষয়ে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।প্রকাশিত এ প্রতিবেদন অনুসরণ, প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহপূর্বক বেলা বৃহত্তর জনস্বার্থে মামলাটি দায়ের করলে মহামান্য আদালত দিঘী ভরাটের উপর উল্লেখিত অন্তবর্তীকালীন স্থিতাবস্থা আরোপ করেন ও রুল জারি করেন। দেশে প্রচলিত আইন অনুযায়ী জলাধার হিসেবে চিহ্নিত কোন ভূমি ভরাট ও শ্রেনী পরিবর্তন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
মামলার বিবাদীগণ – সচিব, ভূমি মন্ত্রণালয়; সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়; মহা-পরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর; জেলা প্রশাসক, ফেনী; পুলিশ সুপার,ফেনী; উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ফেনী সদর উপজেলা; পরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর (চট্টগ্রাম অঞ্চল কার্যালয়); উপ-পরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর (ফেনী); সহকারী কমিশনার (ভূমি), ফেনী সদর উপজেলা; চেয়ারম্যান , ফেনী সদর উপজেলা; সভাপতি, বোর্ড অব ট্রাস্টীস, ফেনী বিশ্ববিদ্যালয়; উপাচার্য, ফেনী বিশ্ববিদ্যালয়, ফেনী ।
বেলা‘র পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ আশরাফ আলী।
আরো তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন:
সাঈদ আহমেদ কবীর
আইনজীবী, বেলা।
মোবাইল: ০১৭১১২০৮০৮১
তারিখঃ ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৯