আজ ৯ ডিসেম্বর, ২০১৯ বিচারপতি জনাব এনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জনাব মোস্তাফিজুর রহমান-এর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বিভাগের একটি বেঞ্চ (১) কক্সবাজার জেলার ৭টি উপজেলায় অবস্থিত পাহাড়, টিলা ও পাহাড়ী বন কাটা ও মোচন, কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ১২০ কি.মি: দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত সংরক্ষিত অঞ্চল-এ দখল, দূষণ ও অবৈধ নির্মাণ, বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক দূষণ এবং পৌর বর্জ্য ও একবার ব্যবহৃত প্লাস্টিকের অবাধ ব্যবহার রোধ, ঝিলঞ্জা মৌজা যা সংরক্ষিত পর্যটন অঞ্চল, প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এলাকা, উন্নয়ন নিষিদ্ধ এলাকা-তে ১০ তলা সার্কিট হাউজ নির্মাণ করা কেন বিবাদীদের ব্যর্থতা হিসেবে গণ্য করা হবে না ৩ মাসের মধ্যে জানতে চেয়ে রুল নিশি জারি করেন। পাশাপাশি কক্সবাজার জেলার কক্সবাজার সদর, মহেশখালী, টেকনাফ, রামু, চকোরিয়া, উখিয়া এবং পেকুয়া উপজেলায় বিদ্যমান পাহাড় টিলা ও পাহাড়ী বন এর পরবর্তী কোন পরিবর্তন, ১২০ কিলোমিটার সমুদ্র সৈকতে গড়ে ওঠা সংরক্ষিত এলাকা, উন্নয়ন নিষিদ্ধ এলাকাতে গড়ে উঠা বেআইনী ও কর্তৃত্ব বর্হিভূত স্থাপনা কেন অপসারণ বা গুড়িয়ে দেয়া হবে না; পরিবেশগত ছাড়পত্র ও পয়:শোধনাগার ব্যতীত কোন হোটেল, মোটেল, রেস্টুরেন্ট, মার্কেট ও অন্যান্য বাণিজ্যিক স্থাপনা যেন এ অঞ্চলে গড়ে উঠতে না পারে; পৌর এলাকায় পৌর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সুনিশ্চিত ও ১২০ কিলোমিটার সমুদ্র সৈকতে একবার ব্যবহৃত প্লাস্টিক সামগ্রীর ব্যবহার নিষিদ্ধ করা, এবং উন্নয়ন নিষিদ্ধ এলাকা ও কক্সবাজার পৌরসভার সমুদ্র তীরবর্তী উন্নয়ন নিষিদ্ধ এলাকার ৩০০ ও কক্সবাজার পৌর এলাকার ৫০০ মিটারের ভিতরে প্রচুর পরিমাণে ঝাউ বৃক্ষ রোপণ করার জন্য কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে আদালত।
মামলার বিবাদীগণ-সচিব, মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ; সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়; বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়; গণপূর্ত মন্ত্রণালয়; জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়; পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়; অতিরিক্ত সচিব, মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ; বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রাম; চেয়ারম্যান, নদী রক্ষা কমিশন; বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন; কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ; মহাপরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর; প্রধান স্থপতি, স্থাপত্য বিভাগ; জেলা প্রশাসক, কক্সবাজার; পুলিশ সুপার, কক্সবাজার; নির্বাহী প্রকৌশলী, গণপূর্ত অধিদপ্তর; চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদ, কক্সবাজার; পরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম; সহকারী পরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর, কক্সবাজার; মেয়র, কক্সবাজার পৌরসভা; সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি)।
বেলা‘র পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেনমিনহাজুল হক চৌধুরী ।
আরও তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন-
সাঈদ আহমেদ কবীর
আইনজীবী, বেলা।
ফোন: ০১৭১১২০৮০৮১
তারিখ: ৯ ডিসেম্বর, ২০১৯