-প্রেস বিজ্ঞপ্তি-
আজ (২৬ আগস্ট, ২০২৫) আপিল বিভাগের নির্দেশ অনুযায়ী অবিলম্বে আশিয়ান ল্যান্ডস্ ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের “আশিয়ান সিটি” আবাসন প্রকল্পের নির্ধারিত ৩৩ একর জমির সীমানা চিহ্নিত করার জোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)। একইসাথে সীমানা নির্ধারিত না হওয়া পর্যন্ত জমি বিক্রির জন্য প্রচারণামূলক কার্যক্রম যেমন বিজ্ঞাপন (অনলাইন/পত্রিকা), সাইনবোর্ড/বিলবোর্ড স্থাপনসহ যেকোনো কার্যক্রম বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণেরও দাবি জানিয়েছে বেলা।
উল্লেখ্য, ঢাকার উত্তর খান, দক্ষিণখান, বড়য়া ও বাথুয়া মৌজার নীচু কৃষিজমি, প্লাবনভূমি ও জলাশয় ভরাট করে আশিয়ান ল্যান্ডস্ ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড “আশিয়ান সিটি” নামে আবাসন প্রকল্প হাতে নেয়। এর অনুকূলে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও পরিবেশ অধিদপ্তর প্রদত্ত অনুমোদন ও ছাড়পত্র চ্যালেঞ্জ করে বেলা জনস্বার্থমূলক মামলা (নং ১৭১৮২/২০১২) দায়ের করে। মামলার চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্ট বিভাগের একটি বিশেষ বেঞ্চ ১৬ জানুয়ারি, ২০১৪ তারিখে “আশিয়ান সিটির” সকল অনুমতিপত্র ও ছাড়পত্রকে অবৈধ, বেআইনি ও জনস্বার্থবিরোধী ঘোষণা করেন এবং ভরাটকৃত এলাকা পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দেন।
পরবর্তীতে আশিয়ান ল্যান্ডস্ ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড হাইকোর্টে রিভিউ আবেদন (নং ১৯/২০১৫) করলে আদালত ১৬ জানুয়ারি, ২০১৪ তারিখের রায় বাতিল করে রিভিউ মঞ্জুর করেন। রিভিউ রায়ের বিরুদ্ধে বেলা সিভিল আপিল (নং ৪৫৫/২০১৭) দায়ের করে। চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২২ নভেম্বর, ২০২৩ তারিখে আপিল বিভাগ রায় দেন যে আশিয়ান ল্যান্ডস্ ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড “আশিয়ান সিটি” প্রকল্পটি কেবল ৩৩ একর জমির মধ্যেই বাস্তবায়ন করতে পারবে।
কিন্তু আদালতের এ নির্দেশনা সত্তে¡ও আশিয়ান ল্যান্ডস্ ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড নির্ধারিত ৩৩ একরের বাইরে জমি বিক্রির জন্য অনলাইন ও পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রচার এবং সাইনবোর্ড/বিলবোর্ড স্থাপন করেছে। অবৈধভাবে এসব কার্যক্রম চলমান থাকলেও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নগর পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন শাখা-১ শুধুমাত্র পত্র প্রেরণেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি, যা আদালত অবমাননার সামিল।
নোটিশটি যাদের বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে – গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়,তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের সচিব; স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ভূমি মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব; রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান; পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক; ঢাকার জেলা প্রশাসক; রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উপ-নগর পরিকল্পনাবিদ; পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট এÐ মনিটরিং) এবং আশিয়ান ল্যান্ডস্ ডেভেলপমেন্ট লি:-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
বেলা নোটিশগ্রহীতাদের আগামী ৩১ আগস্ট, ২০২৫ তারিখের মধ্যে গৃহীত পদক্ষেপ জানাতে অনুরোধ করেছে। অন্যথায় আদালত অবমাননার অভিযোগে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন-
এস. হাসানুল বান্না
এডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট
ও আইনজীবী, বেলা।
মোবাইলঃ ০১৮৩৩০২৬২৬২
২৬ – ০৮ – ২০২৫