আজ (১১ আগস্ট, ২০২৫) সুন্দরবনের বাঘ, হরিণসহ সকল প্রজাতির বন্যপ্রাণীর নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে নির্মিত ও নির্মিতব্য রিসোর্টসহ সকল স্থাপনা উচ্ছেদে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জোরালো দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর পত্র প্রেরণ করেছে। একইসাথে, বাঘ ও হরিণ শিকারের সাথে জড়িত দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছে বেলা।
সুন্দরবনের কোলঘেঁষে বনের গাছ কেটে, খাল ভরাট করে খুলনা ও সাতক্ষীরায় ২০টিরও অধিক রিসোর্ট গড়ে উঠেছে। এসব রিসোর্টে ব্যবহৃত বিকট শব্দের জেনারেটর ও উচ্চ সাইন্ড সিস্টেম থেকে সৃষ্ট শব্দ দূষণ, পাশাপাশি মাটি ও পানি দূষণ বাঘসহ সুন্দরবনের বন্যপ্রাণীদের জন্য নতুন বিপদ হিসেবে দেখা দিয়েছে টিকে থাকতে পারছে না। অধিকন্তু অনিয়ন্ত্রিত পর্যটনের কারণে যে কেউ বনের ভিতরে প্রবেশ করছে এবং হরিণ শিকার করছে।
পরিবেশগত গুরুত্ব বিবেচনায় ১৯৯৯ সালে সরকার সুন্দরবন ও আশপাশের ১০ কিলোমিটার এলাকাকে ‘প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন’ ঘোষণা করে সেখানে স্থাপনা নির্মাণসহ সকল কর্মকাÐ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। তাছাড়া, সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে স্থাপনা নির্মানের উপর আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সুষ্পষ্ট আইনী নিষেধাজ্ঞা ও আদালতের নির্দেশনা থাকা সত্তে¡ও বনের পরিবেশ, প্রতিবেশ ব্যবস্থার ক্ষতি এবং বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল হুমকিতে ফেলে গড়ে উঠা এসব রিসোর্ট উচ্ছেদ না করা আইন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চরম উদাসিনতার পরিচায়ক।
প্রেরিত পত্রের মাধ্যমে মাধ্যমে সুন্দরবনের বাস্তুতন্ত্র ও খাদ্য শৃঙ্খল বজায় রাখতে সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে নির্মিত ও নির্মিতব্য রিসোর্টসহ সকল স্থাপনা উচ্ছেদে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।
যাদের বরাবর পত্র প্রেরণ করা হয়েছে – পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালযয়ের এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধান বন সংরক্ষক, খুলনা, বাগেরহাট এবং সাতক্ষীরা জেলার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক, বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক এবং সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগ ও পশ্চিম বিভাগের
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা।
আরও তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন-
এস. হাসানুল বান্না
এডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট
ও
আইনজীবী, বেলা।