-প্রেস বিজ্ঞপ্তি-
আজ (০৯ জুলাই, ২০২৫) বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্ভুক্ত ২১৫, শের-ই-বাংলা রোড, রায়ের বাজারে অবস্থিত ‘পটারি পুকুর’ রক্ষায় একটি আইনী নোটিশ প্রেরণ করেছে। এ নোটিশের মাধ্যমে বেলা ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্ভুক্ত ২১৫, শের-ই-বাংলা রোড, রায়ের বাজারে অবস্থিত ‘পটারি পুকুর’ ভরাটের সকল কার্যক্রম বন্ধের জোর দাবি জানিয়েছে। একইসাথে ইতোমধ্যে ভরাটকৃত অংশ পুনরুদ্ধারপূর্বক পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে এবং পুকুরটির প্রয়োজনীয় সংস্কারপূর্বক শ্রেণি অপরিবর্তিত রেখে “পুকুর” হিসেবে যথাযথ সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছে বেলা।
প্রেরিত এ নোটিশে বলা হয়েছে জনগুরুত্বপূর্ণ এ পুকুরটি ভরাট করে রূপায়ন গ্রæপের রাতুল প্রপার্টিজ লিঃ বহুতল ভবন নির্মাণ করছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের বারত দিয়ে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে পরিবেশগত ছাড়পত্র গ্রহণ ব্যতিরেকে পুকুর ভরাট করা হচ্ছে এবং ভবন নির্মাণের পূর্বে অবস্থানগত ছাড়পত্রও গ্রহণ করেনি প্রতিষ্ঠানটি।
প্রেরিত এ নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, বেলা কর্তৃক উল্লেখিত পুকুর ভরাটের বর্তমান অবস্থা পরিদর্শনে পুকুর ভরাট ও ভরাটকৃত অংশে ভবন নির্মাণের উদ্যোগের সত্যাতা পাওয়া যায়। বর্তমানে নালিশি স্থানটি ভবনের নির্মাণের উদ্দ্যেশ্যে টিন দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে এবং নির্মাণ সামগ্রী পড়ে থাকতে দেখা গেছে। জলাবদ্ধতার চরম সংকটে থাকা এ নগরীর পানি নিষ্কাশনের অন্যতম আধার এ পুকুর। গুরুত্বপূর্ণ এ পুকুরটি ভরাট হয়ে গেলে উল্লেখিত এলাকার পানি নিষ্কাষিত হতে না পেরে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ চরমে পৌঁছাবে। অগ্নিকাÐ প্রবণ ঢাকা মহানগরীর অগ্নিকাÐ মোকাবেলায় এমন একটি পুকুরের গুরুত্ব অপরিসীম। মহানগরী ঢাকায় প্রায়শই পানির অভাবে অগ্নিকাÐ মোকাবেলা ব্যাহত হয়। ফলশ্রæতিতে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে।
প্রেরিত নোটিশ অনুযায়ী, আইনত, পুকুর ব্যক্তি মালিকানাধীন বা সরকারী যাই হোক না কেনো, অপরিহার্য জাতীয় প্রয়োজন ছাড়া এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া তা ভরাট করা যাবে না। পুকুর ভরাট ও শ্রেণি পরিবর্তনের এহেন কার্যক্রম দেশে প্রচলিত আইনের পরিপন্থী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। পুকুরটির ভরাট বন্ধ করে এবং বৃহত্তর জনস্বার্থ বিবেচনায় ভরাটকৃত অংশ পুনরুদ্ধার করে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে এনে তা যথাযথ সংস্কার ও সংরক্ষণ না করা আইন বাস্তবায়নকারী∕প্রয়োগকারী সংস্থা হিসেবে ব্যর্থতার পরিচায়ক বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
নোটিশটি যাদের বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে- প্রশাসক, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন; সচিব, ভূমি মন্ত্রণালয়, সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়; চেয়ারম্যান, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ; মহাপরিচাল, পরিবেশ অধিদপ্তর; চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক); জেলা প্রশাসক, ঢাকা; পুলিশ কমিশনার, ঢাকা মেট্টোপলিটন এরিয়া; পরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর (ঢাকা মহানগর কার্যালয়); অফিসার ইন চার্জ, মোহাম্মদপুর থানা এবং ব্যবস্থপনা পরিচালক, রাতুল প্রপার্টিজ লিঃ, রূপায়ন গ্রæপ।
আরও তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন-
এস. হাসানুল বান্না
এডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট
ও আইনজীবী, বেলা।
মোবাইলঃ ০১৮৩৩০২৬২৬২
৯-০৭-২০২৫ ইং