প্রেস বিজ্ঞপ্তি
হবিগঞ্জ জেলার ঐতিহ্যবাহী “চন্দ্রনাথ পুকুর” ও “টাউন মডেল স্কুল পুকুর” রক্ষায় আদালতের নির্দেশ
আজ (২৭ জানুয়ারি, ২০২৫) হবিগঞ্জ জেলার হবিগঞ্জ সদর উপজেলার অন্তর্ভুক্ত হবিগঞ্জ পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের সুলতান মাহমুদপুর মৌজার “চন্দ্রনাথ পুকুর” এবং “টাউন মডেল স্কুল পুকুর” এর অংশ ভরাট করে হবিগঞ্জ পৌরসভা কর্তৃক অননুমোদিতভাবে মার্কেট নির্মাণ সংবিধান ও প্রচলিত আইনের লঙ্ঘন বিধায় তা কেন বেআইনী, আইনগত কর্তৃত্ববিহীন ও জনস্বার্থবিরোধী ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ বিবাদীগণের উপর রুল জারি করেছেন। একইসাথে অননুমোদিত ভরাট থেকে পুকুরটি রক্ষার, ভরাটকৃত অংশ পুনরুদ্ধার করে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার, বৃহত্তর জনস্বার্থে পুকুরটি সংরক্ষণের এবং পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ এর ৭ ধারা অনুযায়ী হবিগঞ্জ পৌরসভাকে শাস্তি প্রদানের নির্দেশ কেন প্রদান করা হবে না তাও জানতে চেয়েছেন মহামান্য আদালত।
রুল জারির পাশাপাশি মহামান্য আদালত পুনরায় “চন্দ্রনাথ পুকুর” এবং “টাউন মডেল স্কুল পুকুর” নামক পুকুর দুইটি ভরাটের এবং সেখানে সকল ধরনের নির্মাণ কার্যক্রমের উপর মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। সেইসাথে আগামী ১ (এক) মাসের মধ্যে আদালতে আদেশ প্রতিপালন সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের হবিগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের পরিচালকে নির্দেশ প্রদান করেছেন মহামান্য আদালত।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) কর্তৃক দায়েরকৃত একটি জনস্বার্থমূলক (নং ১২৭৬২/২০২৪) মামলার প্রাথমিক শুনানী শেষে জনাব বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং জনাব বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরী এর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বিভাগের ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, হবিগঞ্জ জেলার হবিগঞ্জ সদর উপজেলার অন্তর্ভুক্ত হবিগঞ্জ পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের সুলতান মাহমুদপুর মৌজার আরএস খতিয়ান নং ২, দাগ নং ৯৩৪৫ এবং আরএস খতিয়ান নং ১৮, দাগ নং ৯৩৪৫ এ হবিগঞ্জ পৌরসভা ও হবিগঞ্জ জেলার শিক্ষা অফিসের মালিকানাধীন ৫২৬৪ ডেসিমেল আয়তন বিশিষ্ট “চন্দ্রনাথ পুকুর” এবং একই মৌজার আরএস খতিয়ান নং ১৮, দাগ নং ১৬৫১০ এ হবিগঞ্জ পৌরসভার মালিকানাধীন ৭৪১২ ডেসিমেল আয়তন বিশিষ্ট “টাউন মডেল স্কুল পুকুর” নামে ঐতিহ্যবাহী দুইটি পুকুর রয়েছে। পুকুর দুইটি হবিগঞ্জ পৌরসভা কর্তৃপক্ষ মার্কেট নির্মাণের উদ্দেশ্যে অনুমোদন ব্যতিত ভরাট কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকলে শতবর্ষী এ পুকুর দুইটি রক্ষায় সংগৃহিত তথ্যের উপর ভিত্তি করে বেলা উল্লেখিত জনস্বার্থমূলক মামলাটি দায়ের করে।
মামলার বিবাদীগণ হলেন – ভ‚মি মন্ত্রণালয়ের সচিব; স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব; শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব; পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক; হবিগঞ্জ জেলার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার; হবিগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসক; সিলেট বিভাগের পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক; হবিগঞ্জ সদর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি); হবিগঞ্জ জেলার শিক্ষা কর্মকর্তা এবং হবিগঞ্জ জেলার পরিবেশ অধিদপ্তরের ডেপুটি পরিচালক।
বেলা’র পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এডভোকেট এস. হাসানুল বান্না এবং তাঁকে সহযোগিতা করেন এডভোকেট তৌহিদুল আলম। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জনাব তানিম খান।
আরও তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন-
এস. হাসানুল বান্না
এডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট
ও আইনজীবী, বেলা।
মোবাইলঃ ০১৮৩৩০২৬২৬২
২৭-০১-২০২৫ ইং
পিরোজপুর জেলাধীন মিরুখালী-বাদুরা-ভারানী ও বাদুরা (ভুতার) খাল রক্ষায় আদালতের নির্দেশ
আজ (২৭ জানুয়ারি, ২০২৫) হাইকোর্ট বিভাগের ডিভিশন বেঞ্চ পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার বাদুরা মৌজায় অবস্থিত মিরুখালী-বাদুরা-ভারানী ও বাদুরা (ভুতার) খাল থেকে অননুমোদিত বাঁধ (ক্রস বাঁধ), রাস্তা ও স্থাপনা অপসারণের ব্যর্থতা কেন বেআইনী, আইনগত কর্তৃত্ববিহীন ও জনস্বার্থবিরোধী ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে বিবাদীগনের উপর রুল জারি করেছেন। জারিকৃত এ রুলে উল্লেখিত বাঁধ (ক্রস বাঁধ), রাস্তা ও স্থাপনা অপসারণের নির্দেশ কেন প্রদান করা হবে না তাও বিবাদীগণের নিকট থেকে জানতে চেয়েছেন আদালত।
রুল জারির পাশাপাশি মহামান্য আদালত খাল দুইটিতে অবস্থিত সকল অননুমোদিত বাঁধ (ক্রস বাঁধ), রাস্তা ও স্থাপনা অপসারণে জন্য অবিলম্বে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পিরোজপুর জেলার জেলা প্রশাসক; পিরোজপুর জেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী; মঠবাড়িয়া উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা; মিরুখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেসা ¯œাতক কামিল মহিলা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ কে নির্দেশ প্রদান করে। সেইসাথে আদালতের আদেশ প্রতিপালন সংক্রান্ত প্রতিবেদন আগামী ৩(তিন) মাসের মথ্যে আদালতে দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেছেন।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) কর্তৃক দায়েরকৃত একটি জনস্বার্থমূলক (নং ১২৭৩১/২০২৪) মামলার প্রাথমিক শুনানী শেষে জনাব বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং জনাব বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরী এর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বিভাগের ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, কৃষিসমৃদ্ধ পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার অন্তর্গত ৩ নং মিরুখালী ইউনিয়নের বাদুরা নামক মৌজায় “মিরুখালী-বাদুরা-ভারানী” এবং বাদুরা (ভুতার) খাল নামে দুইটি খাল রয়েছে। “মিরুখালী-বাদুরা-ভারানী” খালটি ২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ১০০ ফুটেরও অধিক প্রশস্ত এবং “বাদুরা” খালটি ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ৫০ ফুট প্রশস্ত। খাল দুইটির অংশবিশেষ ভরাট করে খালের বিভিন্ন স্থানে সরকারী সংস্থাসমূহ ক্রস বাঁধ ও পাকা সড়ক নির্মাণ করেছে। বাদুরা খালটিতে আড়াআড়িভাবে ভরাট করে বাঁধ নির্মাণ করেছে বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেসা ¯œাতক কামিল মহিলা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। একইসাথে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ খাল ভরাট করে চলাচলের রাস্তা ও মাদ্রাসার মূল ফটক নির্মাণ করেছে। মূলত “মিরুখালী-বাদুরা-ভারানী” ও বাদুরা (ভুতার) খালের উপর নির্মিত ক্রস বাঁধ, পাকা সড়ক ও স্থাপনা অপসারণ করে খাল দুইটির পানির স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরিয়ে আনা ও জলাবদ্ধতা দূরীকরণের লক্ষ্যে বেলা উল্লেখিত জনস্বার্থমূলক মামলাটি দায়ের করে।
মামলার বিবাদীগণ হলেন – ভ‚মি মন্ত্রণালয়ের সচিব; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব; পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব; স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব; জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান; বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান; পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক; বরিশাল বিভাগের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী; পিরোজপুর জেলার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার; বরিশাল বিভাগের পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক; বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড পিরোজপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী (ঙঘগ উবঢ়ধৎঃসবহঃ); পিরোজপুর জেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী; পিরোজপুর জেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী; মঠবাড়িয়া উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি); মঠবাড়িয়া উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের উপজেলা প্রকৌশলী; মিরুখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং বাদুরার বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেসা ¯œাতক কামিল মহিলা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ।
বেলা’র পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এডভোকেট এস. হাসানুল বান্না এবং তাঁকে সহযোগিতা করেন এডভোকেট তৌহিদুল আলম। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জনাব তানিম খান।
আরও তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন-
এস. হাসানুল বান্না
এডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট
ও আইনজীবী, বেলা।
মোবাইলঃ ০১৮৩৩০২৬২৬২
২৭-০১-২০২৫ ইং