ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলাধীন বন আইনের অধীন প্রজ্ঞাপিত বনভূমি রেকর্ড ও রক্ষার ব্যর্থতা এবং প্রজ্ঞাপিত বনভূমি জেলা প্রশাসক ও ব্যক্তি নামে রেকর্ড কেন আইন বহির্ভুত, আইনী কর্র্তৃত্বহীন এবং আইনগতভাবে ভিত্তিহীন ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে হাইকোর্টের রুল
আজ (২৩ আগস্ট, ২০২১) মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ ময়মনসিংহ বন বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলাধীন বন আইনের ৪, ৬ ও ২০ ধারায় প্রজ্ঞাপিত বনভূমি রেকর্ড ও রক্ষার ব্যর্থতা এবং সংবিধান, প্রচলিত আইন ও সরকারী কর্তৃপক্ষের আইনগত আদেশ লঙ্ঘন করে প্রজ্ঞাপিত বনভূমি জেলা প্রশাসক ও ব্যক্তি নামে রেকর্ড কেন আইন বহির্ভুত, আইনী কর্র্তৃত্বহীন এবং আইনগতভাবে ভিত্তিহীন ঘোষণা করা হবে না এবং উল্লেখিত প্রজ্ঞাপিত বনভূমির মধ্যে ২৪টি মৌজায় (হবিরবাড়ি, জামিরদিয়া, কাশরগড়, মনোহরপুর, মেহেরাবাড়ি, বাশিল, ধামশুর, ঝালপাজা, কাঠালী, কাদিগড়, পালগাঁও, পাড়াগাঁও, মল্লিকবাড়ি, সাতেঙ্গা, নারাঙ্গী, হাতিবর, কৈয়াদি, চামিয়াদি, মর্চি, পানিহাতি, আঙ্গারগাড়া, ডাকাতিয়া, চাঁদপুর ও হোসেনপুর) বিদ্যমান বনভূমি সিএস রেকর্ড অনুযায়ী পূন:জরিপের মাধ্যমে বনভূমি হিসেবে সংরক্ষণের নির্দেশ কেন প্রদান করা হবেনা তা জানতে চেয়ে বিবাদীগণের উপর রুল জারি করেছেন।
বিচারপতি জনাব মোঃ মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি জনাব মোঃ কামরুল হোসেন মোল্লা এর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বিভাগের একটি বেঞ্চ বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) কর্তৃক দায়েরকৃত এক জনস্বার্থমূলক মামলার (নং- ২০২/২০২১) প্রাথমিক শুনানী অন্তে এ রুল জারি করেন।
উল্লেখ্য, ময়মনসিংহ বন বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলাধীন ৩০টি মৌজায় বন আইন, ১৯২৭ অনুযায়ী প্রজ্ঞাপিত সি এস দাগে মোট বনভূমির পরিমাণ ২৩,০৭৮.২৬ একর। প্রজ্ঞাপিত এ বনভূমির মধ্যে বন আইনের ৪ ও ৬ ধারায় ঘোষিত বনভূমির পরিমাণ ১৩,৭২৬.৮৭ একর এবং ২০ ধারায় সংরক্ষিত বনভূমির পরিমাণ ৯,৩৫১.৩৯ একর। পরবর্তীতে বি আর এস জরিপে উল্লেখিত ২৩,০৭৮.২৬ একর বনভূমির মধ্যে মাত্র ৭২২৬.৭৫ একর বনভূমি বনবিভাগের নামে রেকর্ডভুক্ত হয়। অবশিষ্ট বনভূমির ৮,০০৭.৯৪ একর জেলা প্রশাসকের, ৪৬৬১.৭২ একর ব্যক্তির নামে রেকর্ড হয় এবং অবশিষ্ট ৩১৮১.৮৫ একর বনভূমির তথ্য রেকর্ড বহির্ভূত থেকে যায়। উল্লেখিত ৩০টি মৌজায় বিদ্যমান ২৩,০৭৮.২৬ একর বনভূমি রক্ষা ও সংরক্ষণের নিমিত্তেই মূলত বেলা উল্লেখিত জনস্বার্থমূলক মামলাটি দায়ের করে।
বেলা‘র পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এ্যাডভোকেট সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং তাকে সহায়তা করেন সাঈদ আহমেদ কবীর।
মামলার বিবাদীগণ- ১। সচিব, ভূমি মন্ত্রণালয় ; ২। সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়; ৩। প্রধান বন সংরক্ষক, ৪। মহাপরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর; ৫। মহাপরিচালক, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর, ৬। বিভাগীয় কমিশনার, ময়মনসিংহ; ৭। জেলা প্রশাসক, ময়মনসিংহ; ৮। পুলিশ সুপার, ময়মনসিংহ; ৯। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, ময়মনসিংহ; ১০। বন সংরক্ষক, কেন্দ্রীয় অঞ্চল; ১১। বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, ময়মনসিংহ বন বিভাগ; ১২। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ভালুকা; ১৩। পরিচালক (প্রশাসন), ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর; ১৪।জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার, ভালুকা; ১৫। সহকারি কমিশনার (ভূমি), ভালুকা; ১৬। সহকারী সেটেলমেন্ট ও চুড়ান্ত প্রকাশনা অফিসার, ভালুকা; ১৭। রেঞ্জ কর্মকর্তা, ভালুকা রেঞ্জ; এবং ১৮। রেঞ্জ কর্মকর্তা, উথুরা রেঞ্জ।
আরো তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন:
সাঈদ আহমেদ কবীর
আইনজীবী, বেলা।
মোবাইল: ০১৭১১২০৮০৮১
তারিখঃ ২৩ আগষ্ট, ২০২১