আজ (১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪) বর্তমান ও আগামী প্রজন্মকে পরিবেশগত বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা এবং দেশে সুস্থ পরিবেশ ও প্রতিবেশ ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে পরিবেশ, জলবায়ু ও জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও উন্নয়ন সাধনকে পরিবেশগত ন্যায়বিচারকে সংবিধানে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান, “জলবায়ু”কে উক্ত অনুচ্ছেদে সংযুক্তকরণ এবং জরমযঃ ঃড় ঐবধষঃযু ঊহারৎড়হসবহঃ কে জরমযঃ ঃড় ষরভব হিসেবে অন্তর্ভূক্ত দাবী এবং একবার ব্যবহার্য্য প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা এবং সুস্থ পরিবেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে নির্বাচনী প্রচারণায় একবার ব্যবহার্য্য প্লাস্টিকের ব্যবহার সম্পূর্ণরুপে নিষিদ্ধ দাবী জানিয়ে সংবিধান এবং নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বরাবর পৃথক দুটি পত্র প্রেরণ করছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)।
প্রেরিত পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, পরিবেশগত অবক্ষয়ের কারণে ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতিকর প্রভাবে বাংলাদেশ চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। দেশের রাজধানী বসবাস অযোগ্য নগরীতে পরিণত হয়েছে। প্রায়শই বায়ুদূষণের শীর্ষে বাংলাদেশ অবস্থান করছে। পাশাপাশি সমুদ্রে পানির স্তরবৃদ্ধি, আকস্মিক বন্যা, অনাবৃষ্টি ও অতিবৃষ্টিসহ নানা রকম প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখিন হচ্ছে দেশটি। বেলা কর্তৃক প্রেরিত পত্রে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও উন্নয়ন সম্পর্কিত সংবিধানের অনুচ্ছেদে বেলা “জলবায়ু” বিষয়টি সন্নিবেশিত করে অনুচ্ছেদটিকে রাষ্ট্রপরিচালনার মূলনীতির পরিবর্তে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করার জোর দাবী জানিয়েছে। একইসাথে জরমযঃ ঃড় ঐবধষঃযু ঊহারৎড়হসবহঃ কে জরমযঃ ঃড় ষরভব হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করারও দাবী জানিয়েছে।
নির্বাচন সংস্কার কমিশন প্রধান বরাবর প্রেরিত অপর একটি পত্রে বর্তমান ও ভবিষৎ প্রজন্মকে জলবায়ু, পরিবেশগত বিপর্যয় ও একবার ব্যবহার্য্য প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা এবং সুস্থ পরিবেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে নির্বাচনী প্রচারণায় বিশেষভাবে পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন, প্লাস্টিকের পানির বোতল, খাবারের প্যাকেটে একবার ব্যবহার্য্য প্লাস্টিকের ব্যবহার সম্পূর্ণরুপে নিষিদ্ধ করতে বেলা জোরালো দাবি জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রচলিত আইন ও উচ্চ আদালতের নির্দেশনা থাকার পরও বিগত নির্বাচনগুলোতে প্রচারপত্রে প্লাস্টিকজাত ঞযবৎসধষ খধসরহধঃরড়হ ঋরষস বা পলিথিনের আবরণ কিংবা প্লাস্টিক ব্যানার (পিভিসি ব্যানার) ব্যবহার, একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিকের প্যাকেট, পানির বোতলের ব্যপক ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়েছে যা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় মর্মে প্রেরিত পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
পৃথকভাবে প্রেরিত পত্র দুটির মাধ্যমে বেলা কর্তৃক সংবিধান ও নির্বাচন সংস্কার কমিশনকে এ বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতার প্রতিশ্রæতি প্রদান করে।
বেলা’র পক্ষে পত্র দুইটি প্রেরণ করেন বেলা’র প্রধান নির্বাহী (ভারপ্রাপ্ত) তাসলিমা ইসলাম।
আরও তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন-
এস. হাসানুল বান্না
এডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট
ও আইনজীবী, বেলা।
মোবাইলঃ ০১৮৩৩০২৬২৬২
১৯-১২-২০২৪ ইং।