– প্রেস বিজ্ঞপ্তি –
এস এন কর্পোরেশন শিপব্রেকিং ইয়ার্র্ড এ “ঝটঠঅজঘঅ ঝডঅজঅঔণঅ” নামক জাহাজ (ওগঙ ঘড়. ৯১৭০৪৩২) ভাঙার সময়ে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে শ্রমিক আহত ও নিহত হবার বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন প্রকাশ এবং জাহাজ ভাঙা ইয়ার্ডে নিহত শ্রমিকের পরিবারকে সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ ও আহত শ্রমিকগণের চিকিৎসা খরচ ও পুণর্বাসনের জোর দাবি জানিয়ে আজ (৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪) বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) নোটিশ প্রেরণ করেছে। এ নোটিশের মাধ্যমে এস এন কর্পোরেশন শিপব্রেকিং ইয়ার্ডের সকল কার্যক্রম বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে। নোটিশটি শিল্প মন্ত্রণালয়; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়; শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এর সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তর এর মহাপরিচালক, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এর মহাপরিদর্শক, বিস্ফোরক পরিদপ্তর এর প্রধান বিস্ফোরক পরিদর্শক, শ্রম অধিদপ্তর এর মহাপরিচালক , চট্টগ্রাম এর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার; পরিবেশ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগ এর পরিচালক, বাংলাদেশ শীপ ব্রেকার্স এসোসিয়েশন এর সভাপতি এবং এস এন কর্পোরেশন শিপব্রেকিং ইয়ার্র্ড এর স্বত্ত¡াধিকারী বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, অতিমাত্রায় ঝুঁকিপূর্ণ জাহাজ ভাঙ্গা কার্যক্রমের অব্যাহত দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বেলা উচ্চ আদালতে বেশ কয়েকটি জনস্বার্থমূলক মামলা দায়ের করেছে যা চলমান মামলা (ঈড়হঃরহঁরহম গধহফধসঁং) হিসেবে মহামান্য আদালতে বিবেচিত রয়েছে। আদালত এসকল মামলার রায় ও আদেশের মাধ্যমে শ্রমিকদের যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ব্যতীত জাহাজ ভাঙ্গা ইয়ার্ডগুলো যাতে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারে সে বিষয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা প্রদান করেন।
আদালতের সুস্পষ্ট রায় ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা থাকা সত্তে¡ও বিগত ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে এস এন কর্পোরেশন শিপব্রেকিং ইয়ার্র্ড এর জাহাজ ভাঙা ইয়ার্ডে “ঝটঠঅজঘঅ ঝডঅজঅঔণঅ” নামক জাহাজ (ওগঙ ঘড়. ৯১৭০৪৩২) ভাঙার সময়ে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ১২ জন শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন মর্মে দেশের বিভিন্ন প্রিণ্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী আহত ব্যক্তিদের ১২জনকেই প্রাথমিকভাবে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও আশংকাজনক বিবেচনায় তাঁদের ৮জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলের বার্ণ ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়েছে। দগ্ধ এ শ্রমিকগণের শ্বাসনালীসহ ব্যক্তিভেদে শরীরের ২৫ থেকে ৯০ ভাগ পুড়ে গেছে। ইতোমধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে একজন শ্রমিক মারা গেছে মর্মে জানা গেছে। ইতোপূর্বে এস এন কর্পোরেশন শিপব্রেকিং ইয়ার্ডে ২০১০ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে ১৩ বার। এসব ঘটনায় প্রাণ হারায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত প্রশিক্ষণবিহীন ১২জন শ্রমিক ও আহত হয় ১৩ জন।
একই ইয়ার্ডে পুনঃ পুনঃ এ ধরণের মারাত্মক ঘটনা প্রমাণ করে যে, প্রচলিত আইন ও আদালতের নির্দেশ অমান্য করে অনিয়ন্ত্রিতভাবে জাহাজভাঙা অব্যাহত রয়েছে। মালিকপক্ষ হতে শ্রমিক অধিকার নিশ্চিতকরণে কার্যত কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি, মারাত্মক এ ঝুঁকিপূর্ণ কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনোরূপ তদারকির ব্যবস্থাও নেই এবং সর্বোপরি এ ধরণের ঘটনার আনুষ্ঠানিক তদন্তের বিধান থাকা সত্তে¡ও কমিটি কর্তৃক পরিদর্শন/পর্যবেক্ষণ করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়নি। উল্লেখিত অবস্থার প্রেক্ষিতে প্রচলিত আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ ও আদালতের আদেশের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতেই মূলত এ নোটিশ প্রেরণ করা হয়েছে।
আরও তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন-
এস. হাসানুল বান্না
আইনজীবী, বেলা
মোবাইলঃ ০১৮৩৩০২৬২৬২
০৮-০৯-২০২৪ ইং